সবাইকে আমার সালাম জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ল্যাপটপ বিষয়ক পোস্টে। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি সার সংক্ষেপে এর আলোচনা করছি।
ল্যাপটপ এর যে কোন অংশ অন্য কোন অংশ এর চেয়ে কম মুল্যবান নয় । তাই এর প্রতিটি অংশের প্রতিও খেয়াল রা
আসুন শুরুতে জানবো ল্যাপটপ এর ব্যাটারি নিয়ে : ল্যাপটপ এর ব্যাটারি হল এর মহান চালিকা শক্তি তাই এর প্রতি বিশেষ বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরী। ল্যাপটপ কে নিয়মিত ব্যাটারি পাওয়ার দিয়ে চালনা করা ঠিক নয়। সাপ্তাহে অন্তত ১/২ দিন পূর্ণ ব্যাটারিকে ডিসচার্জ করে নেবেন। এবং পুনরায় চার্জ করে নেবেন। এতে ব্যাটারি তার স্বচল এবং কার্য ক্ষমতা ধরে রাখবে। ব্যাটারি যখন শতকরা ৪০% পারসেন্ট এর নিচে আসবে তখন অবশ্যিই চার্জিং এ লাগিয়ে রাখবেন। এতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটারি ভাল থাকে।
মাসে অন্তত ১ বার হলেও ব্যাটারিকে খুলে জেড়ে মুছে আবার লাগাবেন। পুরনো দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে ভিতরে ময়লা থাকলে সেটি পরিস্কার করে নেবেন । এ ক্ষেএে এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে করলে ভাল হয় ।
এবং ব্যাটারিকে সবসময়য়ে ব্যালেন্স মোডে রাখবেন। এতে আপনার ল্যাপটপ তার চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার নিতে সক্ষম হয়। যখন পিসিতে গেমস বা মুভি দেখবেন তখন পাওয়ার সেভ মোডে নিয়ে আসবেন এতে ভাল ফাফরমেন্স পাবেন গেমস এবং মুভির ক্ষেএে।
এই অপশন গুলি অবশ্যই অদল বদল করে নেবেন এবং ল্যাপ্টপে অবশ্যই VGA ড্রাইভার টি আপনার ল্যাপটপে ইনস্টল থাকতে হবে। VGA এর মানে হলো ডিসপ্লে ভিডিও গ্রাফিক্স এডজাস্টিং ড্রাইভার এর মানে কি আশা করি বুজে নিয়েছেন। এই ড্রাইভার টি হলো আপনার গেমস এবং মুভি চালানোর মহান গুরু শক্তি। যাহা না থাকলেই নয়। তাই এর প্রতি নজর দেবেন । এবং যখনি ল্যাপটপে নতুন ইউন্ডোজ সেটআপ দেবেন।অবশ্যাই শুরুতে এই ড্রাইভার টি ইনস্টল করে নেবেন।
কিবোর্ড কে যত টুকু সম্ভব হয়। খুব যত্নের সাথে ব্যাবহার করতে চাইবেন যেমন ডেস্কটপ এর মত হাতুড়ি পেটা করলে অতি সহসায় এর যে কোন অঙ্গ হারাবেন। এটা যে পুনরায় রিপেয়ার করবেন এটা একশতে মাএ ২০% সফলতা আসে বাকিটা আনসিউর। কারন ল্যাপটপ এর কিবোর্ড টি ডালাই করা থাকে বেশির ভাগ ল্যাপটপে এবং সবকিছুর নিচে এবং খুব সুক্ষ ভাবে । তাই এর প্রতি ভাল কোন টেকনিশায়ান ও নজর দিতে ভঁয় করেন । আর নতুন একটি কিবোর্ড এর দাম ও কম নয় ৫,হাজার থেকে শুরু করে ১০,হাজার পর্যন্ত চুয়ে যায়। তাই আপনার প্রিয় ল্যাপটপ কে অন্য একটি ইউএসবি কিবোর্ড ব্যাবহার করবেন।এবং এবার হাতুড়ি পেটা করেন কোন সমস্যা নেই। আর দাম ও একদম হাতের মুঠোয় মাএ ২৮০ টাকার মধ্যে পাবেন।
এবং সম্ভব হলে ল্যাপটপ এর কিবোর্ড এর জন্য একটা পেড নিয়ে নেবেন এবং পুরো কিবোর্ড কে প্যাড দিয়ে আবরন করে রাখবেন এতে আপনার সার্কিট এবং কিবোর্ড এর ভিতরের অংশে ধুলোবালি প্রবেশ রোধ করবে। সাধারন যে কোন মার্কেটে পাবেন দাম মাএ ৭০/৮০ টাকার মধ্যে।
ক্যামেরার উপর হোয়াইট টেপ ধারা আবরন করে রাখবেন।
ব্লুটুথ কে বিনা প্রয়োজনে অন করে রাখবেন না যদি ভুলে আপনার ব্লুটুথ প্রোগ্রাম টি স্বচল থাকে এবং এর সেটিংস এ যে কোন ফাইল রিসিভ এবং সেন্ড অপশন টি যদি অটো এলাউ থাকে এ ক্ষেএে সিস্টেমে অটোম্যাটিক ভাইরাস এসে বাসা বাধবে। এবং এইসব ভাইরাস ল্যাপটপ এর জন্য এক মহামারী হয়ে দাঁড়ায়। এর জন্য মাজে মাজে হার্ডডিস্ক বা অন্য কোন একটি সাইট একদম সফল ভাবে চিরতরে ড্যামেজ করে দিতে পারে। ব্লুটুথ যদি ও অন করে রাখতে চান তাহলে আপনি নিজ থেকে এলাউ দিয়ে ফাইল শেয়ার এবং রিসিভ অপশন টি মার্ক রাখবেন।
ডিভিডি প্লেয়ার কে ও যত্নের সাথে ব্যাবহার করা উত্তম পিসিতে কোন গেমস বা মুভি দেখতে চাইলে কপি করে তারপর প্লে করবেন।এবং এর ল্যান্সে কক্ষনো হাত লাগাবেন না । যদি ভুলে লেগে যায় তাড়াহুড়ো না করে ল্যান্স ক্লিনিং সিডি বা ডিভিডি দ্বারা সেটা পরিস্কার করা যায় । এই সিডি ডিভিডি টি মার্কেটে কিনতে পাওয়া যায়।
অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল বা প্রোগ্রাম থাকলে সেটি অবশ্যাই আনইন্সটল করে নেবেন। এতে ভাল গতি পাবেন । প্রয়োজনের বাইরে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল না করাই ভাল। এবং নিয়মিত ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কিন করে ফ্রেশ রাখবেন।
মূলকথা হল কি ভাবে ল্যাপটপ কে চালালে তার কোন অসুবিধা হয়না । তার জন্য কুলিং প্যাড ব্যাবহার করতে পারেন,তবে আমি কুলিং প্যাড ব্যাবহার করিনা এবং এতে পয়সা খরচ ও করতে আমি রাজি নই।তাই আমি সিলিং ফেন এর সাহায্য নেই। যেমন যেখানে আপনি ল্যাপটপ কে রাখবেন হতে পারে সেটা আপনার টি’টেবিল বা প্লাস্টিক টাইপ কোন টেবিল। তার উপর ল্যাপটপ কে রেখে তার সামনের অংশের নিচে ২/৩ ইঞ্চি পরিমাণে উপুড় করে দেবেন তার নিচে কিচু দিয়ে। কাঠের সামান্য কোন টুকরো বা এই জাতীয় কিচু এবং এবার ফেন চালিয়ে দিন সামান্য গতিতে। এবার ২৪ঘন্টা চালিয়ে রাখুন আপনার ল্যাপটপ কোন সমস্যা নেই, ল্যাপটপ এর নিচের অংশে ২টি ফেন আছে বা থাকে, একটি ফেন এর কাজ হল বাহির থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া শোষণ করে নিয়ে পুরো সার্কিট কে ঠাণ্ডা করে রাখা। এবং অন্য আরেকটি ফেন সেই গরম হাওয়া কে টেনে বাহির করে দেওয়া । আর ল্যাপটপ যখন এই সুযোগটি পায়না তখন তার অবস্তা বাচা মরার মত হয়ে দাঁড়ায়। এই জন্য অনেকে বলে থাকেন যে তার ল্যাপটপ টি হাত দেওয়ার মত অবস্তায় নেই এমন গরম হয়ে গেচে। আমার দেখানো সিস্টেম টি আপনি প্রয়োগ করে দেখুন কেমন ঠাণ্ডা অবস্তায় আছে আপনার ল্যাপটপ।
নতুন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেএে নিজের পছন্দ কে প্রাধান্য দেবেন। এবং নিজে যদি ঠিক করে উঠতে না পারেন আপনার পছন্দ নিয়ে। তাহলে অবিজ্ঞ জনের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না। অথ্যাৎ যিনি ল্যাপটপ পূর্বে ব্যাবহার করেছেন এবং করতেছেন। এবং ভাল মন্দ সব কিছু যিনি জানেন।
যদি গেমস/মুভি খেলতে চান তাহলে ৬৪বিট পছন্দ করবেন। গেমস এবং মুভি দেখার জন্য ভাল ফারফরম্যান্স পেতে চাইলে ৬৪ বিট ই সবচেয়ে উত্তম। এবং অফিসিয়াল কাজের বেলায় আপনার কাজের ধরন দেখে পচন্দ করবেন এ ক্ষেএে বিট নিয়ে ভাবতে হবেনা।তবে জিনিস কেনার পূর্বে এটাকে যাতে বহুবিধ ভাবে ব্যাবহার করা যায় এইজন্য শুরু থেকে ভালটাই নেওয়া উত্তম।
আর আপনি যেখান থেকে ল্যাপটপ ক্রয় করবেন তার গ্র্যারান্টি এবং অয়ারেন্টি বিস্তারীত যেনে নেবেন আপনার আশে পাশে এর সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে যেনে নিবেন।
ল্যাপটপ এর ইউএসবি পোর্ট গুলো চেক করে দেখবেন।
এবং আজকাল অধিকাংশ ল্যাপটপ এর সাথে মাদারবোড এর সিডি বা অন্যান্য ড্রাইভার গুলোর সিডি দেওয়া হয়না তার পরিবর্তে আপনার ল্যাপটপ এর হার্ড ড্রাইভে কপি করে দেওয়া হয়। আর আপনি যদি নতুন ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন সে ক্ষেএে একটু ভুলের বশে সব শেষ হয়ে যাবে ভাইরাস দ্বারা। তাই দোকান থেকে ড্রাইভ, সফট, গুলোকে একটা সিডি বা ডিভিডি তে রাইট করে দিতে বলবেন। যাহা পরবর্তীতে আপনার কাজে আসবে। কিছুদিন পরে আপনাকে আর কোথায় ও দৌড় ঝাপ দিতে হবেনা।
আজ এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকুন